বিডিআর লাইনে ইলেকট্রিক ইঞ্জিনে লোকাল ট্রেন চলাচল শুরু : খুশি যাত্রীরা

21st February 2021 3:22 pm বাঁকুড়া
বিডিআর লাইনে ইলেকট্রিক ইঞ্জিনে লোকাল ট্রেন চলাচল শুরু : খুশি যাত্রীরা


নিজস্ব সংবাদদাতা ( বাঁকুড়া ) :  সাধারণ মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি মেনে দক্ষিণ পূর্ব রেলের বাঁকুড়া-মশাগ্রাম শাখায় বিদ্যুৎ চালিত রেল পরিষেবা শুরু হলো। রবিবার বাঁকুড়া স্টেশনে এক অনুষ্ঠান শেষে পতাকা নেড়ে রেল পরিষেবার সূচণা করেন সাংসদ ও রেলওয়ে স্ট্যাণ্ডিং কমিটির সদস্য সুনীল মণ্ডল এবং বাম বিধায়ক সুজিত চক্রবর্ত্তী। উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ পূর্ব রেলের আদ্রা ডি.আর.এম সহ বেশ কয়েকজন আধিকারিক ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। রেল সূত্রে খবর, সোমবার থেকে নির্দিষ্ট সূচী মেনে প্রতিদিন ১২ কামরার দু'জোড়া ট্রেন চলবে  । আগামী দিনে এই সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলেও খবর।   প্রসঙ্গত, ‘বড় দুঃখের রেল’ হিসেবে এক সময় পরিচিত বিডিআর রেল লাইনটি ১৯৯৬ সালে দক্ষিণ পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ অধিগ্রহণ করে। ১৯৯৯ সালে ব্রডগেজ লাইন তৈরীর কাজ শুরু হয় ও ২০০৪ সালে তা মশাগ্রাম পর্যন্ত সম্প্রসারিত হয়। পরে চলতি বছরে বৈদ্যুতিকরণ শেষে বিদায় নিল ডিজেল চালিত রেল ব্যবস্থাও। এই রেলপথে একদিকে যেমন বাঁকুড়া-বর্ধমান সীমান্তের ইন্দাস-পাত্রসায়র এলাকার অসংখ্য গ্রামের মানুষের জেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগ সহজ হয়। অন্যদিকে তেমনই বাঁকুড়ার সঙ্গে বর্ধমানের যোগাযোগ ব্যবস্থাও সুগম হয়। উপকৃত লক্ষ লক্ষ মানুষ। রেল কর্তৃপক্ষের তরফে বাঁকুড়ার জন্য এই ট্রেনের ব্যবস্থা করায় খুশি রেল যাত্রীরা৷ করোনা পরিস্থিতি ও লক ডাউনের প্রায় এক বছর পর এদিন এই পথে রেল পরিষেবা শুরু হলো। বৈদ্যুতিকরণের পর প্রথম দিনের যাত্রী সাধন চন্দ্র ঘোষ, রাধা গোবিন্দ গুহরা ভীষণ খুশি। তারা বলেন, বাঁকুড়া-মশাগ্রাম রেল পরিষেবা চালু মানে আমাদের অর্থ ও সময় দুই খরচই কমবে। আগামী দিনে পরিষেবা আরো উন্নত হবে বলে তারা আশাবাদী বলে জানান।  উপস্থিত বাম বিধায়ক সুজিত চক্রবর্ত্তী বলেন, দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হলো। এবার এই রেলপথকে হাওড়ার সঙ্গে জুড়ে দিতে হবে। তাহলে জেলার সঙ্গে কলকাতার দূরত্ব অনেকখানি কমবে বলে তিনি জানান। সাংসদ ও রেলওয়ে স্ট্যাণ্ডিং কমিটির সদস্য সুনীল মণ্ডল বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম এই তিন জেলার মানুষ উপকৃত হবেন। একই সঙ্গে এই আদ্রার সঙ্গে হাওড়া এই রেলপথকে যুক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এছাড়াও আগামী দিনে এই লাইনে চলাচলকারী ট্রেনে ভেণ্ডার কোচ যুক্ত করার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। এই রেলপথে বৈদ্যুতিকরণ ব্যবস্থা চালু হওয়ায় মানুষ খুশী বলেও তিনি জানা ।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।